কেবল বড়দের জন্য নয়, ছোট্ট সন্তানদের জন্যও ভ্রমণ এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা। নতুন জায়গা দেখা, নতুন জিনিস শেখা, আর মজার অ্যাডভেঞ্চার – এইসব কিছুই তাদের কৌতূহল জাগিয়ে তোলে। তবে স্বীকার করতে হবে, ছোট্ট ছেলেমেয়েদের সাথে ভ্রমণের সময় পরিকল্পনা আরও একটু বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। কারণ, তাদের পছন্দ মতো কিছু না করলে, পুরো ভ্রমণটাই বিষিয়ে যেতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কিভাবে আপনার ছোট্ট শিশুটির মন জয় করে ভ্রমণের সময় তাকে আনন্দ দিতে পারবেন –
ভ্রমণের উদ্দেশ্যে তাদের পছন্দের জায়গা বেছে নিন:
ভ্রমণের পরিকল্পনা করার সময় গন্তব্যস্থল বাছাইটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ছোট্ট সন্তানদের সাথে যখন ভ্রমণের কথা চিন্তা করবেন, তখন শুধু আপনার বা বড়দের পছন্দ নিয়ে চলবেন না। একটু অন্যরকম চিন্তা করুন। এই ভ্রমণের মূল তারকা তো আপনার little explorer বা explorer-in-training ঠিকই! তাহলে কেন তাকে গন্তব্যস্থল বাছাইয়ের প্রক্রিয়ায় জড়িয়ে দেওয়া হবে না?
একটা সুন্দর সন্ধ্যায় সবাই মিলে বসুন। টেবিলে রাখুন রঙিন ছবির বই, ভ্রমণের ওয়েবসাইট খুলুন, বা এমনকি পুরোনো সফরের ছবি দেখান। ছোট্ট মানুষটিকে জিজ্ঞাসা করুন, “কোথায় যেতে ইচ্ছে করে তোমার?” হয়তো সে চিড়িয়াখানায় যেতে চায় বা সমুদ্র সৈকতে ঢেউয়ের সাথে খেলা করতে চায়। অথবা কোনো পাহাড়ি এলাকার ছবি দেখে সেই সবু প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেড়াতে আগ্রহ দেখাবে। তার পছন্দ যা-ই হোক, সেটাই হোক আপনার গন্তব্যস্থল।
এই ছোট্ট কাজটিই অনেক বড়ো প্রভাব ফেলবে। নিজের পছন্দের জায়গায় যাওয়ার সুযোগ পাওয়ায় সে উচ্ছ্বসিত হবে। যাত্রার আগে থেকেই সে উৎসাহ নিয়ে নতুন জিনিস শেখা, নতুন জায়গা দেখার জন্য মুখিয়ে থাকবে। এমনকি, ভ্রমণের প্রস্তুতি নেওয়াতেও আপনাকে সাহায্য করতে পারে সে। প্যাকিং করার সময় তার পছন্দের খেলনাগুলো ব্যাগে রাখতে দিন। যাত্রার সময় কোন জায়গাগুলোতে ঘুরতে চায় সেটা জানার চেষ্টা করুন। এভাবে ছোট্ট সন্তানকে ভ্রমণের পরিকল্পনায় যুক্ত করে, আপনি তাকে আরও বেশি আনন্দ দিতে পারবেন এবং ভ্রমণের স্মৃতি আরও সুন্দর করে তুলতে পারবেন।
থাকার জায়গা বাছাই করার সময় তাদের পছন্দ বিবেচনা করুন:
ভ্রমণের সময় সুন্দর সব জায়গা দেখা, মজার অভিজ্ঞতা নেওয়া – এসবের পাশাপাশি আরামদায়ক থাকাটাও খুব জরুরি। বিশেষ করে ছোট্ট সন্তানদের ক্ষেত্রে আরামের গুরুত্ব আরও বেশি। কিন্তু হোটেল বা রিসোর্ট বুকিং করার সময় আমরা প্রায়শই শুধু বড়দের আরামের কথা চিন্তা করি। ফলে, থাকার জায়গাটা হয়তো খুব একটা শিশু-বান্ধব নাও হতে পারে। একটু চিন্তা করুন তো, যদি আপনি আরামদায়ক বিছানায় ঘুমিয়ে থাকেন, আর আপনার ছোট্ট সন্তান ঘরে খেলার জায়গা না পেয়ে অস্থির হয়ে থাকে, তাহলে কী অবস্থা হবে? তাই, ভ্রমণের পরিকল্পনা করার সময় থাকার জায়গা বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও ছোট্ট মানুষটিকে একটু সামিল করুন।
এখন প্রশ্ন হলো, how can you make sure your hotel stay is fun for your little one?
- খেলার জায়গা আছে কি না:
হোটেল বা রিসোর্ট বুকিং করার আগে ছবি দেখে নিন। খেলার মাঠ, সুইমিং পুল বা শিশুদের জন্য আলাদা খেলার ঘর আছে কিনা, সেটা দেখুন। এসব থাকলে আপনার ছোট্ট সন্তান ঘরে থাকার সময়ও নিজের মতো করে মজা পেতে পারবে। - খেলনা আছে কি না:
কিছু কিছু হোটেলে বা রিসোর্টে শিশুদের জন্য বিশেষ খেলনা বা বিনোদনের জিনিস থাকে। এসব জায়গাগুলো বেছে নেওয়া ভালো, কারণ এতে আপনার ছোট্ট মানুষটি নতুন খেলনা দিয়ে খেলতে পারবে। - খাবারের ব্যাপারটা কেমন?
ছোট্ট ছেলেমেয়েদের খাবারের অভ্যাস একটু আলাদা হয়। তার পছন্দের খাবার সব সময় নাও পাওয়া যেতে পারে। তাই, হোটেলে বা রিসোর্টে বাচ্চাদের জন্য আলাদা মেনু আছে কিনা, সেটা জেনে নেওয়া ভালো।
এই ছোট্ট ছোট্ট বিষয়গুলো মাথায় রাখলে আপনি এমন থাকার জায়গা বাছাই করতে পারবেন, যেখানে আপনি আরামে থাকতে পারবেন, আর আপনার ছোট্ট সন্তানও নিজের মতো করে আনন্দ পাবে।
কিন্তু হোটেল বা রিসোর্ট ছাড়াও তো আরও অনেক রকম থাকার জায়গা আছে, ঠিক না? যদি আপনার সন্তান একটু বড় হয়ে থাকে এবং অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ করে, তাহলে ট্রিপ ক্যাম্পিং করার অভিজ্ঞতা দিতে পারেন।
ভ্রমণের পথে মজার কার্যক্রম রাখুন:
ছোট্ট ছেলেমেয়েদের জন্য দীর্ঘ পথ চলা একঘেয়ে এবং বিরক্তিকর হয়ে উঠতে পারে। বিশেষ করে গাড়িতে বা ট্রেনে যাচ্ছেন, তখন গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই তারা হয়তো অস্থির হয়ে উঠতে পারে। এই অবস্থায় কী করবেন? চিন্তা নেই, আপনার ঝুলিতে কিছু মজার খেলা ও কার্যক্রম থাকলেই তো পার পাওয়া গেল! এতে পথের ক্লান্তি দূর হবে, আর যাত্রার মজাও বাড়বে।
- গান গাওয়া ও ছোট্ট গল্প বলা:
এটা সবচেয়ে সহজ কিন্তু কার্যকর উপায়। সবাই মিলে জনপ্রিয় শিশুদের গান গাইতে পারেন। ছোট্ট, মজার গল্প বলে শোনানো যায়। এতে সবাই আনন্দে থাকবেন এবং সময়টা দ্রুত কেটে যাবে।
- ছবি আঁকা ও রঙিন বই:
ছোট্ট শিশুটির জন্য রঙিন বই আর পেন্সিল নিয়ে দিন। সে যেন তার মনের মতো ছবি আঁকে আর আপনি গল্প করে শোনান। বড় সন্তানদের জন্য ট্রাভেল জার্নাল বানানোর আইডিয়া দিতে পারেন। জার্নালে তারা দেখা জায়গা, খাওয়া খাবার, নতুন জিনিস – এসব নিয়ে লিখতে পারে বা ছবি আঁকতে পারে।
- কার কাছে বেশি রঙের গাড়ি দেখা যাচ্ছে?
এই খেলাটি গাড়িতে যাওয়ার সময় খেলতে পারেন। সবাই মিলে জানালার চেষ্টা করবে কে বেশি রঙের গাড়ি দেখতে পাচ্ছে। এই খেলায় জিতলে কী পুরস্কার দেওয়া হবে, সেটা আগে থেকে ঠিক করে নিতে পারেন।
- আই–স্পাই (I Spy) খেলা:
এই খেলাটি ট্রেনে বা গাড়িতে খেলতে পারফেক্ট। একজন খেলার শুরু করবে “আই স্পাই উইথ মাই লিটল আই, সামথিং that is blue (নীল – nil)” (আমি আমার ছোট্ট চোখে দেখেছি, কিছু একটা নীল রঙের) বাকিরা অনুমান করবে সে কোন জিনিসের কথা বলছে।
এই সব ছোট্ট ছোট্ট খেলা ও কার্যক্রমের মাধ্যমে আপনি যাত্রার পথকেও মজার করে তুলতে পারেন। এতে আপনার ছোট্ট সন্তান দীর্ঘ পথ চলার ক্লান্তি ভুলবে এবং সারা সময় উৎসাহী থাকবে। এছাড়াও, গাড়িতে বা ট্রেনের জানালা দিয়ে নতুন জায়গা দেখার অভিজ্ঞতাও ছোট্ট ছেলেমেয়েদের জন্য মজার লাগে। নতুন জায়গা, নতুন মানুষ, নতুন দৃশ্য – এই সবকিছুই তাদের কৌতূহল জাগিয়ে তোলে। তাই, জানালা দিয়ে কিছু দেখলে তাদের সাথে সেটা নিয়ে আলোচনা করুন।
থিম পার্ক মজা: রোমাঞ্চকর রাইড ও খেলা
ছোট্ট ছেলেমেয়েদের মনের আনন্দ বাড়ানোর কথা চিন্তা করলেই যে জিনিসটা মাথায় আসে, তার নাম থিম পার্ক! রঙিন, চমকপ্রদ সাজ, মজার রাইড, আর খেলার অসংখ্য সুযোগ – থিম পার্ক ছোট্টদের জন্য একটা স্বপ্নের জগত। তাই, পরিবারের সঙ্গে সফরের সময় এমন কোনো জায়গায় যাওয়া ঠিক করতে পারেন, যেখানে একটি থিম পার্ক আছে। এতে আপনার ছোট্ট মানুষটির আনন্দ আর উচ্ছ্বাস দেখে আপনিও খুশি হয়ে যাবেন।
থিম পার্কে এত রকমের রাইড আছে যে, ছোট্ট ছেলেমেয়েদের জন্য নিখুঁত কিছু বেছে নেওয়া কঠিন! তবে, বয়স বিবেচনা করে কিছু রাইড বাছাই করতে পারেন।
থিম পার্কে কিছু কিছু রাইড থাকে, যা বিশেষভাবে ছোট্ট বাচ্চাদের জন্য তৈরি। এই রাইডগুলো বেগে চলে না, বরং ধীরে ধীরে ঘোরে। যেমন, কাপ-কেকের আকারের ঘোরানো কাপ বা হাসিমুখের আকারের ট্রেন। এই রাইডগুলোতে বসে ছোট্ট মানুষটি রঙিন দৃশ্য দেখতে পাবে আর আনন্দে কিচ্ছুট কিচ্ছুট চিৎকার করতে পারবে।
একটু বড় ছেলেমেয়েদের জন্য থিম পার্কে আছে রোমাঞ্চকর রাইড। এসব রাইডে চড়ে তারা অসাধারণ রোমাঞ্চ অনুভব করবে।
কিন্তু শুধু রাইড ই না, থিম পার্কে আছে অসংখ্য খেলাধুলোর মজা।
- খেলার স্টল:
থিম পার্কে বেশ কিছু খেলার স্টল থাকে। এসব স্টলে রিং টস বা বেলুন শুটিং করে ছোট্ট ছেলেমেয়েদের পুরস্কার জেতা যায়। এই খেলার মধ্যে তারা ঘন্টার পরে ঘণ্টা সময় কাটাতে পারবে আর জেতা পুরস্কার গুলো তার মনের মধ্যে আনন্দের ঝিলিক জাগিয়ে দেবে।
জলের রাজ্যে: সাগর সৈকতে বা পার্কে জলকেলি
ছোট্ট ছেলেমেয়েদের জন্য জলের মায়া অপরিসীম। তাই, ঘোরাঘুরির সময় এমন কোনো জায়গা বেছে নিতে পারেন, যেখানে তারা জলকে আলিঙ্গন করতে পারে। সাগর সৈকত বা ওয়াটার পার্ক – দুটো জায়গা ই ছোট্টদের জন্য সমান আনন্দদায়ক।
- সাগর সৈকতে মজা:
নীল সাগর, সাদা বালির খেলা – এই দৃশ্য ছোট্ট মানুষটিকে মুগ্ধ করে দেবে। সাগর সৈকতে তারা বালির বাড়ি বানাতে পারবে বা পানিতে ডুব দিয়ে আনন্দ পাবে। এই অভিজ্ঞতা তার মনের মধ্যে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
তবে, সাগর সৈকতে যাওয়ার সময় কিছু কথা মাথায় রাখতে হবে। ছোট্ট বাচ্চাদের কাছ থেকে চোখ ফেরাবেন না। সবসময় সাবধান থাকুন। এছাড়াও, সাথে করে সানস্ক্রিন, টুপি আর টয়লেটের সুবিধা থাকা জরুরি।
- ওয়াটার পার্কে থ্রিলিং অভিজ্ঞতা:
যদি সাগর সৈকতে যাওয়া পসিবল না হয়, তাহলে একটা ওয়াটার পার্কে যেতে পারেন। ওয়াটার পার্কে ও ছোট্ট ছেলেমেয়েদের জন্য অনেক রকমের জলের খেলা থাকে।
- স্লাইডার:
ওয়াটার পার্কে বেশ কিছু রকমের স্লাইডার থাকে। একক বা দু’জন একসাথে চড়ে নিচে আসার এই অভিজ্ঞতা ছোট্ট মানুষটিকে রোমাঞ্চ দেবে। - ওয়েভ পুল:
ওয়াটার পার্কে কৃত্রিম লहर তৈরি করা হয়। এই লহরের সাথে খেলতে ছোট্ট ছেলেমেয়েদের মজা লাগবে অনেক। - কিডস পুল: ওয়াটার পার্কে ছোট্ট বাচ্চাদের জন্য বিশেষ পুল থাকে। এই পুলে গভীরতা কম হয় আর মজার খেলনা থাকে।
প্রাণী জগতের সফর: চিড়িয়াখানা বা জাতীয় পার্কে
ছোট্ট ছেলেমেয়েদের কাছে প্রাণীরা এক অদ্ভুত জগতের বাসিন্দা। তাদের রং, আকার, আচরণ – সবকিছুই ছোট্ট মানুষটিকে মুগ্ধ করে। তাই, পরিবারের সঙ্গে ঘোরাঘুরির সময় এমন কোনো জায়গায় যাওয়া ঠিক করতে পারেন, যেখানে সে প্রাণীদের দেখতে পারবে।
চিড়িয়াখানা বা জাতীয় পার্ক – এই দুই জায়গাই ছোট্টদের কাছে অসাধারণ অভিজ্ঞতা দেবে।
- চিড়িয়াখাণায় দর্শন
চিড়িয়াখানায় গেলে ছোট্ট মানুষটি রাজকীয় বাঘ, মজার বানর, হাতি বা জিরাফ সহ বিভিন্ন প্রাণীকে দেখতে পাবে। প্রতিটা প্রাণীর আলাদা আলাদা চলন আর ধ্বনি তার মনে কৌতূহল জাগিয়ে দেবে। এই দর্শনের মাধ্যমে প্রাণীদের কথা শিখতে পারবে সে। চিড়িয়াখানায় কিছু জায়গায় প্রাণীদের খাওয়ানোর ব্যবস্থা থাকে। এই অভিজ্ঞতা ছোট্ট মানুষটিকে আরও রোমাঞ্চিত করে তুলবে।
- জাতীয় পার্কের সৌন্দর্য
জাতীয় পার্কে প্রাণীদের তাদের নিজের আবাসস্থলে দেখা যায়। হাতির দল ঘাস খাচ্ছে, বাঘ জঙ্গলে লুকিয়ে আছে – এসব দৃশ্য ছোট্ট মানুষটিকে প্রকৃতির মায়ের আলিঙ্গন দেখাবে। জাতীয় পার্কে গাইডের সাহায্য নিলে প্রাণী ও বনস্পতি সম্পর্কে অনেক কিছু শিখতে পারবে সে।
DIY অভিজ্ঞতা: সঙ্গে মিলে রান্না বা হস্তশিল্প
ভ্রমণের সময় শুধু বাইরে ঘোরাঘুরি করাই নয়, বরং কিছু নতুন শিখতেও পারেন আপনি আর আপনার ছোট্ট সন্তান। এতে ভ্রমণের মজার অভিজ্ঞতা আরও বৃদ্ধি পাবে।
- সঙ্গে মিলে রান্না
যদি আপনার হোটেলে বা রিসোর্টে কিচেন থাকে, তাহলে সেখানে সঙ্গে মিলে কিছু সহজ খাবার বানাতে পারেন। পিৎজা বা কেক বানাতে তো ছোট্ট মানুষটি অনেক আনন্দ পাবে। এই অভিজ্ঞতার মাধ্যমে সে রান্নার কিছু প্রাথমিক বিষয় শিখতে পারবে।
- হস্তশিল্পের মজা
ঘোরাঘুরির স্মৃতি ধরে রাখার জন্য কিছু হস্তশিল্প বানাতে পারেন আপনি আর আপনার ছোট্ট মানুষটি। স্থানীয় বাজার থেকে কিছু উপকরণ কিনে পোস্টকার্ড বানাতে পারেন বা সাদা ট-শার্টে রঙ করে আপনার ভ্রমণের স্মৃতি ধরে রাখতে পারেন। এই কাজের মাধ্যমে তার সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পাবে আর আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে।
স্থানীয় সংস্কৃতি আবিষ্কার: খেলাধুলা, নৃত্য, খাবার
ভ্রমণের সময় শুধু নতুন জায়গা দেখাই যথেষ্ট নয়। সেখানকার সংস্কৃতি টাও মুখ্য। স্থানীয় সংস্কৃতি আবিষ্কার করতে পারলে সফরের অভিজ্ঞতা আরও সমৃদ্ধ হয়ে উঠবে। আপনার ছোট্ট মনকেও মুগ্ধ করে দেবে এই অভিজ্ঞতা।
- স্থানীয় খেলাধুলার মজা
নতুন জায়গায় ঘুরতে গিয়ে সেখানকার স্থানীয় খেলাধুলা গুলো দেখার চেষ্টা করুন। এই খেলা গুলো হয়তো আপনার চেনা খেলা থেকে একেবারেই আলাদা। বা সমুদ্র সৈকতে যাওয়ার সময় শিখতে পারেন সার্ফিং করা। এই খেলাধুলো শিখতে গিয়ে স্থানীয় মানুষের সাথে মিশতে পারবেন আপনি আর আপনার ছোট্ট মানুষটি।
কিছু টিপস:
- ছোট্ট মানুষটিকে জড়িয়ে নিন:
কিছু করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় ছোট্ট মানুষটিকে ও জড়িয়ে নিন। - সহজ কাজ বাছাই করুন:
শুরুতে বেশি কঠিন কাজ বাছাই করবেন না। - ধৈর্য ধরুন:
ছোট্ট মানুষটি ভুল করতে পারে। ধৈর্য ধরে তাকে সাহায্য করুন। - মজা করুন:
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এই সব কাজ করে আপনারা মজা করুন।
এই সব DIY অভিজ্ঞতার মাধ্যমে আপনার পরিবারের সাথে আরও ঘনিষ্ঠ বন্ধন তৈরি হবে আর আপনার ছোট্ট মানুষটি কিছু নতুন কিছু শিখতে পারবে।
ভ্রমণ হোক আনন্দের, হোক শিক্ষার!
Nice travel tips. Everyone must read. Thanks