জরুরি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনাকাটা আরও সহজ করতে ‘পে-লেটার’ নামে নতুন এক জামানতবিহীন ক্ষুদ্রঋণ সেবা নিয়ে এসেছে সিটি ব্যাংক ও বিকাশ। ফলে গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা না থাকলেও প্রয়োজনীয় পণ্য কেনার পর বিকাশ অ্যাপ থেকে সিটি ব্যাংকের এই বিশেষ ঋণ নিয়ে সরাসরি মূল্য পরিশোধ করা যাবে। সাত দিনের মধ্যে ঋণের অর্থ পরিশোধ করলে গ্রাহককে সুদ দিতে হবে না।
পে–লেটার কি?
পে–লেটার হলো একটি ডিজিটাল ক্ষুদ্র ঋণ সেবা যা বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে প্রদান করা হয়। এই সেবার মাধ্যমে, গ্রাহকরা তাদের প্রয়োজনীয় পণ্য বা সেবা কিনতে পারবেন এবং পরবর্তীতে কিস্তিতে পরিশোধ করতে পারবেন।
কীভাবে পে-লেটার কাজ করে?
পে-লেটারের মাধ্যমে ব্যক্তি অত্যন্ত সহজেই সিটি ব্যাংক বা বিকাশ এপ ব্যবহার করে ছোট পরিমাণের ঋণের জন্য আবেদন করতে পারেন। এই ঋণ সাধারণত অনলাইনে অনুমোদন পেয়ে থাকে এবং ব্যক্তিগণ তাদের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে পরিমাণ প্রাপ্তির জন্য প্রাপ্তি পায়।
পে–লেটার সেবার লক্ষ্য:
- আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে ত্বরান্বিত করা
- প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জরুরি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনার ক্ষমতা বাড়ানো
- ক্যাশবিহীন লেনদেনের ইকোসিস্টেম তৈরি করা
পে-লেটারের সুবিধাগুলি নিম্নরূপ:
১. সহজ আবেদন প্রক্রিয়া: পে-লেটারের মাধ্যমে ঋণ প্রারম্ভিক আবেদন প্রক্রিয়া অত্যন্ত সহজ এবং সরল। ব্যক্তিগণ আপনার সর্বনিম্ন কাগজপত্রের সাথে আবেদন করতে পারেন এবং অনলাইনে অথবা অফলাইনে আবেদন করতে পারেন।
২. তাড়াতাড়ি অনুমোদন: পে-লেটার মাধ্যমে ঋণের অনুমোদন প্রক্রিয়া খুব তাড়াতাড়ি হয়। সাধারণত অনুমোদন প্রক্রিয়া অনেক দ্রুতগতি প্রাপ্ত হয়।
৩. সরাসরি অনলাইন একাউন্টে জমা: অনুমোদিত ঋণের পরিমাণটি সরাসরি লেনদেনের জন্য অনলাইন একাউন্টে জমা হয়।
৪. বাংলাদেশের প্রায় সকল ব্যাংকে ট্রান্সফার সুবিধা: পে-লেটারের মাধ্যমে প্রাপ্ত ঋণ পরিশোধ করার জন্য প্রায় সকল বাংলাদেশের ব্যাংকে ট্রান্সফার সুবিধা রয়েছে।
৫. চালু কিছু প্রতিকৃয়া ঋণ: পে-লেটারের মাধ্যমে নেয়া ঋণের সাথে সংযুক্ত কিছু প্রতিকৃয়া দেওয়া হতে পারে, যেমন ক্যাশব্যাক, বিভিন্ন অফার ইত্যাদি।
৬. সম্পূর্ণ অনলাইন প্রক্রিয়া: পে-লেটারের মাধ্যমে ঋণ নিতে এবং পরিশোধ করতে সম্পূর্ণ অনলাইন প্রক্রিয়া অনুসরণ করা যায়।
৭. অতি সহজেই প্রাপ্তযোগ্য অর্থ বিনিময় করুন: পে-লেটার সেবা ব্যবহার করে আপনি মাসিক ঋণ পরিশোধের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অটোমেটেড পেমেন্ট করতে পারেন। এটি আপনাকে প্রতি মাসে নিজের ক্রেডিট কার্ড বা লোনের কিস্তি স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিশোধ করতে দেয় এবং নিজের অর্থায়নের অধিকার থেকে মুক্তি দেয়। এটি আপনাকে ভুলে যেতে দেয় এবং আপনি নির্দিষ্ট তারিখে নির্দিষ্ট টাকা নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি নিয়ে মাথায় চিপয়ে পড়েন না।
৮. সহজে পর্যবেক্ষণ করুন: পে-লেটার সেবা ব্যবহার করে আপনি স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার পরিস্থিতির নজরদারি করতে পারেন। আপনি আপনার অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে প্রতিদিনের বা মাসিক লেনদেন সম্পর্কে সহজেই সংক্ষেপে বিবরণ পাবেন। এটি আপনার ব্যক্তিগত অর্থনৈতিক স্থিতির সাথে সাথে আপনার আর্থিক লক্ষ্য অর্জন করতে সাহায্য করবে এবং আপনাকে অবস্থান সম্পর্কে সঠিক ধারণা দেবে।
৯. সহজে নিজের অর্থ নির্ভরশীল করুন: পে-লেটার সেবা ব্যবহার করে আপনি নিজের অর্থ বিনিময় করতে পারেন যেখানে না অনেক ক্লিকে প্রতিষ্ঠিত করে কিছু না নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। এটি আপনাকে সহজেই আপনার পরিস্থিতির নির্ভরশীলতা বাড়ানোর জন্য সাহায্য করবে এবং আপনার অর্থ পরিচালনার সাথে মিলিত হবে।
পে–লেটার ব্যবহারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
- পে-লেটার ব্যবহারের জন্য আপনার বিকাশ অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত ব্যালেন্স থাকতে হবে।
- পে-লেটার লেনদেনের জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ প্রসেসিং ফি প্রযোজ্য।
- 3 মাসের কিস্তির জন্য কোনো সুদ নেই, তবে 6 মাসের কিস্তির জন্য 9% বার্ষিক সুদ প্রযোজ্য।
- কিস্তির সময়মতো পরিশোধ না করলে জরিমানা প্রযোজ্য হতে পারে।
- পে-লেটার সকল মার্চেন্টের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
এই নতুন ‘পে-লেটার’ সেবা নিয়ে বিকাশ অ্যাপ এবং সিটি ব্যাংকের উপযুক্তিগুলি আরও আনুষঙ্গিকভাবে প্রচুর সুবিধা যুক্ত করতে প্রস্তুত। বিকাশ এবং সিটি ব্যাংক একান্তই আপনার আর্থিক প্রয়োজনের সম্পর্কে নিরাপদ এবং দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তুলতে প্রস্তুত এবং এই সেবা সম্পর্কে তাদের আরও কিছু মৌলিক বৈশিষ্ট্য যুক্ত করা হয়েছে:
মুক্ত অনলাইন সহায়তা: আপনার যখন যেকোনো প্রয়োজনে আপনি সরাসরি অনলাইনে বিকাশ অ্যাপ এবং সিটি ব্যাংকের মাধ্যমে সহায়তা পেতে পারেন।
সহজ আবেদন প্রক্রিয়া: লোনের জন্য আবেদন করার প্রক্রিয়া খুব সহজ এবং সরাসরি অনলাইনে সম্পন্ন করা যাবে।
ব্যক্তিগত সেবা: আপনি একান্তই নিজের আবেদনের প্রতিটি পর্যায়ে সতর্কতা এবং সম্পূর্ণ সহায়তা প্রদান করা হবে।
সুরক্ষিত ট্রানজেকশন: আমরা সুরক্ষিত এবং স্থায়ী লেনদেন নিশ্চিত করতে গর্বিত। আপনি যখন লোনের জন্য আবেদন করবেন, তখন আপনার সুরক্ষিতভাবে ট্রানজেকশন সম্পন্ন করা হবে।
প্রাথমিক অনুমোদন: আপনি আপনার অনুমোদিত লোনের প্রাথমিক অনুমোদনের জন্য অতি শীঘ্রই অবহিত হবেন।
মূলত সিটি ব্যাংক ও বিকাশের ডিজিটাল ক্ষুদ্রঋণ পরিষেবার আওতায় ‘পে-লেটার’ সেবা চালু করা হয়েছে। ঋণ প্রাপ্তির যোগ্যতা সাপেক্ষে পে-লেটার সেবার মাধ্যমে গ্রাহককে ৫০০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত সমন্বিত ঋণসীমা দেওয়া হবে। এর মাধ্যমে গ্রাহকেরা তাৎক্ষণিকভাবে পে-লেটার ও ডিজিটাল ক্ষুদ্রঋণ উভয় সেবাই নিতে পারবেন।
বিকাশ জানিয়েছে, দেশের মানুষের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ত্বরান্বিত করতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জরুরি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনার ক্ষমতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে এই পে-লেটার সেবা চালু করা হয়েছে। সারা দেশে বিকাশের ছয় লাখের বেশি মার্চেন্ট পয়েন্ট থেকে বিকাশ অ্যাপ দিয়ে কেনাকাটা করে পে-লেটার সেবা ব্যবহারের সুযোগ পাবেন গ্রাহকেরা।
২০২১ সালে যৌথভাবে দেশে প্রথম ডিজিটাল ক্ষুদ্রঋণ সেবা চালু করে সিটি ব্যাংক ও বিকাশ। সেবাটি চালু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত প্রায় ৮ লাখ বার মোট ৭৪২ কোটি টাকা ডিজিটাল ক্ষুদ্রঋণ নিয়েছেন গ্রাহকেরা। এসব ঋণের গড় আকার ৯ হাজার ২৭২ টাকা। ডিজিটাল ঋণের খেলাপি হওয়ার হার শূন্য দশমিক ৭৭ শতাংশ, অর্থাৎ অন্যান্য ঋণের তুলনায় বেশ ইতিবাচক।
মূলত ছোট ছোট উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী বিদ্যমান ডিজিটাল ক্ষুদ্রঋণের প্রধান গ্রাহক। নতুন চালু হওয়া পে-লেটার সেবার মাধ্যমে ডিজিটাল ঋণসেবায় সাধারণ ভোক্তা ও ক্রেতাদের বড় অন্তর্ভুক্তি ঘটবে।
বিভিন্ন ধরনের জরুরি কেনাকাটার প্রয়োজন বিবেচনায় রেখে পে-লেটার সেবা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটি ডিজিটাল লেনদেনের ইকোসিস্টেম তৈরি ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। যেমন একজন কৃষক সার কিনতে এসে অর্থাভাবে কৃষিকাজ বন্ধ রাখবেন না। এই সেবার ফলে তিনি কাঁচামাল হাতে পাবেন, ফলে তাঁর উৎপাদনশীলতা অটুট রাখবে। পে-লেটার সেবা গ্রাহক ও মার্চেন্টকে ডিজিটাল পেমেন্টে আরও উদ্বুদ্ধ করবে।
দেশে আর্থিক খাতে ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে বিকাশ। একসময় ব্যাংক থেকে বিকাশে টাকা নেওয়ার সেবা চালু হলে অনেক ব্যাংকার শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন।
বিকাশ থেকে ব্যাংকে টাকা জমা হওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পূর্বে বিকাশ থেকে ব্যাংকে টাকা পাঠানোর সেবা চালু হলেও, বর্তমানে দেখা যাচ্ছে ব্যাংক থেকে বিকাশে টাকা আসার তুলনায় বিকাশে বেশি পরিমাণে টাকা জমা হচ্ছে। এর প্রধান কারণ হলো গ্রামের ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা বিকাশের মাধ্যমে লেনদেন করছেন। বিকাশে টাকা জমার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায়, তারা সেই অর্থ আবার ব্যাংকে রাখছেন। এই প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে:
গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিকাশের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি: বিকাশ ব্যবহার করা সহজ এবং সাশ্রয়ী মূল্যের, যার ফলে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে এর জনপ্রিয়তা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিকাশের মাধ্যমে সহজ লেনদেন: বিকাশের মাধ্যমে সহজেই টাকা পাঠানো, গ্রহণ করা এবং বিভিন্ন বিল পরিশোধ করা সম্ভব। এটি গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জন্য বিশেষভাবে সুবিধাজনক, যাদের কাছে ব্যাংকিং পরিষেবা সহজলভ্য নয়।
ব্যাংকে টাকা রাখার ঝামেলা এড়ানো: বিকাশে টাকা রাখা তুলনামূলকভাবে সহজ এবং ঝামেলামুক্ত। ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলা এবং পরিচালনা করার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রক্রিয়া পালন করতে হয়, যা অনেকের জন্য ঝামেলাপূর্ণ মনে হয়। এই প্রবণতা ব্যাংকিং শিল্পের জন্য কিছু প্রভাব ফেলতে পারে:
ব্যাংকগুলিতে আমানতের পরিমাণ বৃদ্ধি: বিকাশে জমা হওয়া অর্থ ব্যাংকে জমা হওয়ার সাথে সাথে ব্যাংকগুলিতে আমানতের পরিমাণও বৃদ্ধি পাবে।
গ্রামীণ এলাকায় ব্যাংকিং পরিষেবার চাহিদা বৃদ্ধি: বিকাশের মাধ্যমে ব্যাংকিং পরিষেবার সাথে পরিচিত হওয়ার ফলে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাংকিং পরিষেবার চাহিদাও বৃদ্ধি পাবে।
মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবার প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি: বিকাশের সাফল্য অন্যান্য মোবাইল অপারেটরদেরও মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবা চালু করতে উৎসাহিত করবে, যার ফলে এই ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পাবে।
সাত দিন সুদবিহীন কেনাকাটার সুযোগ এবং ঋণ গ্রহণের প্রক্রিয়া :
কেনাকাটা: আপনার প্রয়োজনীয় পণ্য বা সেবা বিক্রেতার দোকানে গিয়ে বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করে মার্চেন্টের কিউআর কোড স্ক্যান করুন অথবা সরাসরি মার্চেন্ট নম্বর বসিয়ে টাকার পরিমাণ লিখুন।
পেমেন্ট অপশন: পেমেন্ট অপশনে ‘পে-লেটার’ নির্বাচন করুন।
পরিশোধের পদ্ধতি: পরবর্তী পর্বে, আপনাকে দুটি পদ্ধতির মধ্যে একটি নির্বাচন করতে হবে:
৭ দিনে সুদবিহীন: এই পদ্ধতিতে, আপনাকে ঋণের সম্পূর্ণ অর্থ সাত দিনের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।
৩ বা ৬ মাসে কিস্তিতে: আপনি যদি চান তবে ৩ অথবা ৬ মাসিক কিস্তিতে ঋণ পরিশোধ করতে পারেন। এই ক্ষেত্রে, আপনাকে প্রতি মাসে নির্ধারিত পরিমাণে টাকা পরিশোধ করতে হবে। সুদের হার হবে বার্ষিক ৯%।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
সাত দিনের মধ্যে পরিশোধ: ৭ দিনে সুদবিহীন পদ্ধতিতে ঋণ গ্রহণ করলে, আপনাকে অবশ্যই ৭ দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ অর্থ পরিশোধ করতে হবে।
কিস্তি পরিশোধ: ৩ বা ৬ মাসে কিস্তিতে ঋণ পরিশোধ করার ক্ষেত্রে, প্রতি মাসে নির্ধারিত তারিখে নির্ধারিত পরিমাণে টাকা পরিশোধ করতে হবে।
অন্যথায়, বিলম্বে পরিশোধের জন্য অতিরিক্ত চার্জ প্রযোজ্য হতে পারে।
সুদের হার: ৩ বা ৬ মাসে কিস্তিতে ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে, সুদের হার হবে বার্ষিক ৯%।
অন্যদিকে ছয় মাসে পে-লেটার ঋণ পরিশোধ পদ্ধতিতে গ্রাহককে শুরুতেই ২০ শতাংশ ডাউনপেমেন্ট দিতে হবে। বাকি ৮০ শতাংশ অর্থ পে-লেটারের মাধ্যমে সমান কিস্তিতে ভাগ হয়ে প্রতি মাসের নির্দিষ্ট তারিখে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিশোধ হয়ে যাবে। এ ক্ষেত্রেও বার্ষিক ৯ শতাংশ হারে সুদ প্রযোজ্য হবে। উভয় ক্ষেত্রেই শূন্য দশমিক ৫৭৫ শতাংশ ভ্যাট ও পরিষেবা মাশুল যুক্ত হবে।
পে-লেটার ঋণ: ঋণ পরিশোধের বিষয়াবলী
একজন ঋণগ্রহীতা মেয়াদ পূর্তির আগেও ঋণ পরিশোধ করতে পারেন। এই ক্ষেত্রে, ঋণগ্রহীতাকে কেবল সেই সময়ের জন্যই সুদ পরিশোধ করতে হবে যতদিন ঋণটি বকেয়া ছিল। অগ্রিম ঋণ পরিশোধের জন্য কোন অতিরিক্ত খরচ প্রযোজ্য হবে না। ঋণ পরিশোধের বিষয়টি ঋণগ্রহীতাদের মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য নিয়মিত নোটিফিকেশন পাঠানো হবে।
ঋণ পরিশোধের সুবিধা:
মেয়াদ পূর্বে পরিশোধে সুবিধা: ঋণগ্রহীতারা যদি চান তবে তারা মেয়াদ পূর্তির আগেই ঋণ পরিশোধ করতে পারেন। এতে তাদের সুদ খরচ কমবে।
কোন অতিরিক্ত খরচ নেই: অগ্রিম ঋণ পরিশোধের জন্য কোন অতিরিক্ত খরচ প্রযোজ্য হয় না।
নিয়মিত নোটিফিকেশন: ঋণ পরিশোধের তারিখ মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য নিয়মিত নোটিফিকেশন পাঠানো হবে।
গ্রাহকের বিকাশ লেনদেন ও সিটি ব্যাংকের ক্রেডিট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট পলিসির ভিত্তিতে ঋণ পাওয়ার উপযুক্ততা ও ঋণের পরিমাণ নির্ধারিত হবে। এই সেবার আওতাভুক্ত হতে গ্রাহককে অবশ্যই ই-কেওয়াইসির মাধ্যমে নিবন্ধিত হতে হবে।
বিকাশে ই-কেওয়াইসি নিবন্ধন হালনাগাদ করার নতুন উপায়:
বিকাশ গ্রাহকদের জন্য আরও সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে ই-কেওয়াইসি নিবন্ধন হালনাগাদ করার নতুন একটি পদ্ধতি চালু করেছে। এখন থেকে, গ্রাহকরা বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করে সহজেই তাদের ই-কেওয়াইসি তথ্য হালনাগাদ করতে পারবেন। প্রক্রিয়াটি খুবই সহজ:
- বিকাশ অ্যাপ খুলুন।
- ☰ মেনুতে যান এবং ‘আমার অ্যাকাউন্ট’ নির্বাচন করুন।
- ‘ই-কেওয়াইসি’ অপশনে ক্লিক করুন।
- আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট স্ক্যান করুন।
- প্রয়োজনীয় তথ্য যথাযথভাবে প্রদান করুন।
- ‘জমা দিন’ বাটনে ক্লিক করুন।
আপনার তথ্য যাচাই করার পরে, আপনার ই-কেওয়াইসি নিবন্ধন হালনাগাদ করা হবে।
এই নতুন পদ্ধতির সুবিধা:
সুবিধাজনক: আপনি যেকোনো সময়, যেকোনো স্থান থেকে বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করে আপনার ই-কেওয়াইসি তথ্য হালনাগাদ করতে পারেন।
দ্রুত: আবেদন প্রক্রিয়াটি খুবই দ্রুত এবং সহজ।
কাগজপত্রের ঝামেলা নেই: আপনার কাগজপত্র জমা দেওয়ার জন্য আর ব্যাংকে যেতে হবে না।
আপনি যদি এখনও বিকাশে ই-কেওয়াইসি নিবন্ধন করেননি, তাহলে আজই নিবন্ধন করুন! এটি আপনার বিকাশ অ্যাকাউন্টকে আরও নিরাপদ করবে এবং আপনাকে আরও বেশি সুবিধা প্রদান করবে।
** মনে রাখবেন:**
আপনার ই-কেওয়াইসি নিবন্ধন হালনাগাদ করার জন্য আপনার অবশ্যই একটি স্মার্টফোন এবং একটি ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে।
আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট স্ক্যান করার সময়, নিশ্চিত করুন যে ছবিটি স্পষ্ট এবং সহজে পঠনযোগ্য।
আপনার প্রদত্ত সমস্ত তথ্য সঠিক তা নিশ্চিত করুন।